বন্যা কবলিত এলাকায় তীব্র নদী ভাঙ্গন : দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ ও খাবার সংকট
- আপডেট সময় : ০৮:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার কিছুটা পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নদী তীরবর্তী এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন এবং খাবার সংকটে রয়েছেন দুর্গতরা। এছাড়াও অনেক এলাকায় দেখা দিয়ে পানিবাহিত রোগ।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি এখনো বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে। ফলে হাজার হাজার বসতভিটা এখনো পানির নীচে। অনেকে উচু বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।
ফরিদপুরে বন্যা পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার কমলেও বিপদ সীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও দূর্ভোগ কমেনি। এখনও বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে থাকায় ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের চলাচল।
নদ-নদীর পানি কমে যাওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়িতে এখনও দুর্ভোগে রয়েছেন বন্যা কবলিতরা। হাতে কাজ না থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা। চরাঞ্চলের চারনভুমি নষ্ট হওয়ায় দেখা দিয়ে গো-খাদ্যের সংকট। এদিকে বন্যায় দীর্ঘদিন পানিতে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে জেলার প্রায় ২৭ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত।
পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩টি স্থানের ভাঙ্গন অংশ দিয়ে আজো পানি প্রবেশ করায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ৭টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে আছে।
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। কমেছে সব নদ-নদীর পানি। তবে বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে। খাবারের তীব্র সংকট। এদিকে, দুর্গত এলাকায় খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছেন জেলা পুলিশ মুহাম্মদ তৌহিদূল ইসলাম।
গাজীপুরে তুরাগ ও বংশী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কালিয়াকৈর উপজেলার অনেক এলাকায় ফসলি জমি, পাকা ও কাঁচা রাস্তা ডুবে গেছে।
মানিকগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমলেও জেলার অভন্তরীণ নদী ধলেশ্বরী ও কালিগঙ্গার পানি বাড়ছেই। মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আরিচা পয়েন্টে গেল ২৪ ঘন্টায় ১১ সেন্টিমিটার কমে এখনও বিপদ সীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।