০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

অনিয়ম-দুর্নীতিতে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারী প্রণোদনার ঋণ ব্যবস্থাপনা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:১৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
  • / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনাকালীন প্রণোদনা-ঋণ ব্যবস্থাপনার অনিয়মের জন্য ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি শাখার কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনৈতিকতা দায়ী বলে মনে করছে টিআইবি। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা বলছে, আইনি সীমাবদ্ধতা, রাজনৈতিক প্রভাব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতিতে সরকারের উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না। আর বেসরকারি উদ্যোক্তাদের দাবি,সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আর্থিকখাতের দুষ্টচক্রকে চিহ্নিত করে এখই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, প্রনোদনার টাকা ঋণ হিসেবে দেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে সোনালী ও অগ্রনী ব্যাংক। ঘোষণার পরপরই সোনালী ব্যাংক থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সর্বোচ্চ এক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে৷ একই ব্যাংক থেকে নাভানা রিয়েল এস্টেট ১০০ কোটি টাকা, থারমেক্স গ্রুপ ৮৪ কোটি টাকা, স্টার পার্টিকেল ৫৫ কোটি টাকা ও আবুল খায়ের গ্রুপ নিয়েছে ৪৮ কোটি টাকা।

অগ্রণী ব্যাংক থেকে জাবের অ্যান্ড জুবায়ের নিয়েছে ৯০ কোটি টাকা, নাইস মিলস ৬০ কোটি টাকা, একমি ল্যাবরেটরি ৫০ কোটি টাকা আর এ ব্যাংক থেকেও থারমেক্স গ্রুপ একই সময়ে আবারো ৫৭ কোটি টাকা উঠিয়ে নিয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর গবেষণা বলছে, তদারকি কার্যক্রমে আইনি সীমাবদ্ধতা, রাজনৈতিক প্রভাব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতিতে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের এ উদ্যোগ।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগ বাংলাদেশের ৪১ টি ব্যাংকের ৭৫টি শাখায় এবং ৫৭৪ জন ঋণ গ্রহীতার সাথে কথা বলে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। যেখানে ঋণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি শাখার কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনৈতিকতার চিত্র উঠে আসে।

করোনা মহামারিতে এ ধরনের অনৈতিকতা- অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করেন এসএ গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ। আর্থিকখাতে দুষ্টচক্রকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

তবে এসব অভিযোগ স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আইন ও নজরদারী বাড়িয়েও কিছু কর্মকর্তার অনৈতিকতার রাশ টানতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ ধরণের ঘুষবাণিজ্য বন্ধ না করা গেলে সৎ ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা করোনা সংকটে মুখ থুবড়ে পরবে আর তার নেতিবাচক প্রভাব পরবে গোটা অর্থনীতিতে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অনিয়ম-দুর্নীতিতে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারী প্রণোদনার ঋণ ব্যবস্থাপনা

আপডেট সময় : ০৭:১৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

করোনাকালীন প্রণোদনা-ঋণ ব্যবস্থাপনার অনিয়মের জন্য ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি শাখার কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনৈতিকতা দায়ী বলে মনে করছে টিআইবি। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা বলছে, আইনি সীমাবদ্ধতা, রাজনৈতিক প্রভাব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতিতে সরকারের উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না। আর বেসরকারি উদ্যোক্তাদের দাবি,সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আর্থিকখাতের দুষ্টচক্রকে চিহ্নিত করে এখই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, প্রনোদনার টাকা ঋণ হিসেবে দেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে সোনালী ও অগ্রনী ব্যাংক। ঘোষণার পরপরই সোনালী ব্যাংক থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সর্বোচ্চ এক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে৷ একই ব্যাংক থেকে নাভানা রিয়েল এস্টেট ১০০ কোটি টাকা, থারমেক্স গ্রুপ ৮৪ কোটি টাকা, স্টার পার্টিকেল ৫৫ কোটি টাকা ও আবুল খায়ের গ্রুপ নিয়েছে ৪৮ কোটি টাকা।

অগ্রণী ব্যাংক থেকে জাবের অ্যান্ড জুবায়ের নিয়েছে ৯০ কোটি টাকা, নাইস মিলস ৬০ কোটি টাকা, একমি ল্যাবরেটরি ৫০ কোটি টাকা আর এ ব্যাংক থেকেও থারমেক্স গ্রুপ একই সময়ে আবারো ৫৭ কোটি টাকা উঠিয়ে নিয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর গবেষণা বলছে, তদারকি কার্যক্রমে আইনি সীমাবদ্ধতা, রাজনৈতিক প্রভাব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতিতে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের এ উদ্যোগ।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগ বাংলাদেশের ৪১ টি ব্যাংকের ৭৫টি শাখায় এবং ৫৭৪ জন ঋণ গ্রহীতার সাথে কথা বলে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। যেখানে ঋণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি শাখার কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনৈতিকতার চিত্র উঠে আসে।

করোনা মহামারিতে এ ধরনের অনৈতিকতা- অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করেন এসএ গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ। আর্থিকখাতে দুষ্টচক্রকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

তবে এসব অভিযোগ স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আইন ও নজরদারী বাড়িয়েও কিছু কর্মকর্তার অনৈতিকতার রাশ টানতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ ধরণের ঘুষবাণিজ্য বন্ধ না করা গেলে সৎ ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা করোনা সংকটে মুখ থুবড়ে পরবে আর তার নেতিবাচক প্রভাব পরবে গোটা অর্থনীতিতে।