০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেলেও দুই কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছেন পেট্রোবাংলা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
  • / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রূপান্তরিত গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী আর-পি-জি-সি-এলে থাকা অবস্থায় তিনটি পে-অর্ডার জালিয়াতির মাধ্যমে ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেলেও দুই কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছেন পেট্রোবাংলার সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান এবিএম ফাত্তাহ। পদোন্নতির এই ধারা অব্যহত রেখেছেন বর্তমান চেয়ারম্যানও। এই সংক্রান্ত পেট্রোবাংলার একটি গোপনীয় প্রতিবেদন এসেছে এসএটিভির হাতে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

রূপান্তরিত গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী আরপিজিসিএল। ২০১৮ সালে লারসেন কর্পোরেশন, এএইচকে ইন্টারন্যাশনাল ও ইনফোসিস টেকনোলজি নামের তিনটি নাম সর্বস্ব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে আলাদা আলাদা পে অর্ডার ইস্যু করেন প্রতিষ্ঠানটির অর্থ বিভাগের তৎকালীন জিএম বাবর আলী ও প্রশাসন বিভাগের জিএম রুচিরা ইসলাম। তিনটি আলাদা প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করা পে-অর্ডার নগদায়নের জন্য একজনকেই মনোনীত করে ব্যংককে চিঠিও দেন তারা।

প্রাতিষ্ঠানিক অডিটে পুরো টাকাটাই আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পরে। পরে তদন্তে দুই কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পায় জ্বালানী খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা। অথচ কারো বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়নি প্রতিষ্ঠানটির তৎকালিন চেয়ারম্যান এবিএম ফাত্তাহ। উল্টো এই দুই কর্মকর্তা পান পদোন্নতি। সবচেয়ে বড় কোম্পানী তিতাসের জিএম করা হয় বাবর আলীকে আর পেট্রোবাংলার জিএম হিসেবে রুচিরা ইসলামকে পদোন্নতি দেন এবিএম ফাত্তাহ। বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান এসে আরেকদফা পদোন্নতি দিয়ে রুচিরা ইসলামকে করেছেন সচিব এবং আরপিজিসিএলে আগের পদে ফেরত পাঠিয়েছেন বাবর আলীকে।
সট: অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন, জ্বালানী বিশেষজ্ঞ

রুচিরা ইসলাম এসএটিভির ফোন রিসিভ করেন নি। আর নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে ব্যাংকের ওপর দায় চাপালেন বাবর আলী। পেট্রোবাংলার বর্তমান চেয়ারম্যানের দাবি, আলোচিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ কিংবা দুদকের অনুসন্ধান সম্পর্কে জানা নেই তার। যে কোন সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চললে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোন সুবিধা না দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানেনি রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেলেও দুই কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছেন পেট্রোবাংলা

আপডেট সময় : ০১:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

রূপান্তরিত গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী আর-পি-জি-সি-এলে থাকা অবস্থায় তিনটি পে-অর্ডার জালিয়াতির মাধ্যমে ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেলেও দুই কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছেন পেট্রোবাংলার সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান এবিএম ফাত্তাহ। পদোন্নতির এই ধারা অব্যহত রেখেছেন বর্তমান চেয়ারম্যানও। এই সংক্রান্ত পেট্রোবাংলার একটি গোপনীয় প্রতিবেদন এসেছে এসএটিভির হাতে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

রূপান্তরিত গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী আরপিজিসিএল। ২০১৮ সালে লারসেন কর্পোরেশন, এএইচকে ইন্টারন্যাশনাল ও ইনফোসিস টেকনোলজি নামের তিনটি নাম সর্বস্ব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে আলাদা আলাদা পে অর্ডার ইস্যু করেন প্রতিষ্ঠানটির অর্থ বিভাগের তৎকালীন জিএম বাবর আলী ও প্রশাসন বিভাগের জিএম রুচিরা ইসলাম। তিনটি আলাদা প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করা পে-অর্ডার নগদায়নের জন্য একজনকেই মনোনীত করে ব্যংককে চিঠিও দেন তারা।

প্রাতিষ্ঠানিক অডিটে পুরো টাকাটাই আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পরে। পরে তদন্তে দুই কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পায় জ্বালানী খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা। অথচ কারো বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়নি প্রতিষ্ঠানটির তৎকালিন চেয়ারম্যান এবিএম ফাত্তাহ। উল্টো এই দুই কর্মকর্তা পান পদোন্নতি। সবচেয়ে বড় কোম্পানী তিতাসের জিএম করা হয় বাবর আলীকে আর পেট্রোবাংলার জিএম হিসেবে রুচিরা ইসলামকে পদোন্নতি দেন এবিএম ফাত্তাহ। বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান এসে আরেকদফা পদোন্নতি দিয়ে রুচিরা ইসলামকে করেছেন সচিব এবং আরপিজিসিএলে আগের পদে ফেরত পাঠিয়েছেন বাবর আলীকে।
সট: অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন, জ্বালানী বিশেষজ্ঞ

রুচিরা ইসলাম এসএটিভির ফোন রিসিভ করেন নি। আর নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে ব্যাংকের ওপর দায় চাপালেন বাবর আলী। পেট্রোবাংলার বর্তমান চেয়ারম্যানের দাবি, আলোচিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ কিংবা দুদকের অনুসন্ধান সম্পর্কে জানা নেই তার। যে কোন সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চললে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোন সুবিধা না দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানেনি রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটি।